সাজিদ হাসান ( স্টাফ রিপোর্টার-গাংনি)::
পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শুকুরকান্দি ও হিজলবাড়িয়া এলাকায় তিন ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ইটভাটা গুলো থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) ও গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
এই অবৈধ ইটভাটা গুলির মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া আদেশ অমান্য করে ভাটা পরিচালনা করে আসছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র না থাকায় জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় জনতা ইটভাটার মালিককে ১ লাখ টাকা, রুপসা ইটভাটা মালিককে ১ লাখ টাকা, থ্রি স্টার ইটভাটা মালিককে ১ লাখ টাকা, সমতা ইটভাটা মালিককে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এসএইচবিসি ইটভাটার মালিক ইকরামুল হককে ২ লাখ টাকা, ফোর স্টার ব্রিকসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার অপরাধে শ্রমিক ইকলাছুর রহমানকে ১০ হাজার এবং বলাকা ব্রিকসের মালিক মিলন হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোজফ্ফর খান। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগীতা করেন, গাংনী থানা পুলিশ ও বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম।
এসময় ফায়ারা সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্য দিয়ে পানি ছিটিয়ে ফোর স্টার ব্রিকস’র কাঁচা ইট ধ্বংস ও এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে হিজলবাড়িয়ার বলাকা ব্রিকস।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ সনের ৫৯ নং আইনে সাতটি ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশদূষণ রোধে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল অবৈধ ইটভাটাতে অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার তিনটি উপজেলায় প্রায় ১০৮ টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে বলে জানান জেলা প্রশাসন।